ভারতীয় জেলেদের নির্যাতনের অভিযোগ ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৯-০১-২০২৫ ০৮:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-০১-২০২৫ ০৮:৫৫:৪০ অপরাহ্ন
গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে আটক ৯৫ ভারতীয় জেলেকে নৌযানসহ ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। এর পরদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ভারতীয় জেলেদের মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। মমতার এমন অভিযোগে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এমন মিথ্যা অভিযোগে চরম হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব অভিযোগ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বাস, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক সম্মানের মনোভাবকে খাটো করার অপচেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ভারতীয় জেলেদের কোনও অবস্থাতেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়নি। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে বা নাবিককে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যথাযথভাবে দেখভাল করা হয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রতিনিধিদের নিয়ম অনুযায়ী কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়, যারা তাদের আটক অবস্থায় জেলেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি জেল থেকে ভারতীয় জেলেদের মুক্তির সময় এবং ৪ জানুয়ারি মোংলা থেকে তাদের দেশে ফেরার সময়ও ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাসঙ্গিক হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে সকল জেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়, যেখানে তাদের শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সমুদ্রসীমার পথে তাদের যাত্রার সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সরবরাহ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মানবিক বিষয়গুলো বন্ধুত্বপূর্ণ ও সমন্বিতভাবে সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণস্বরূপ এই পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যা দুই দেশের সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিকেলে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমান্তে উভয় দেশের পক্ষ থেকে আটক জেলেদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য বিভাগ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/নাবিককে গ্রহণ করে এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলে/নাবিককে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
একইসঙ্গে আটক মাছ ধরার নৌযানগুলোর বিনিময়ও সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের দুটি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ বাংলাদেশে ফেরত আনা হয় এবং ভারতের ছয়টি নৌকা তাদের দেশে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স